দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে দুই অফিসারকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে ইসরায়েলি বাহিনী এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে।

রোববার (০৬ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের বাব হুত্তা গেটে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসকরা ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর আল-জাজিরার।

ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, নিহত ওই কিশোরের ছুরিকাঘাতে দুই কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অনলাইনে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ইসরায়েলি অফিসার এক কিশোরকে আটক করার চেষ্টা করছেন। এরপর তার গুলিতে ওই কিশোর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

ইসরায়েলি বাহিনী ঘটনার পর আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়। পরে সেগুলো আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই কিশোর পূর্ব জেরুজালেমের আল-তুর (অলিভ পর্বত) এলাকার বাসিন্দা। ইসরায়েলি বাহিনী তাকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর আল-তুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ভাইকে গ্রেফতার করে।

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ১৯৬৭ সালে জেরুজালেমের পূর্ব অংশ দখল করে নেয়। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ পূর্ব জেরুজালেমকে দখলকৃত এলাকা বলে মনে করে এবং সেখানে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব বা অবৈধ বসতিকে স্বীকৃতি দেয় না। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর এবং গাজা স্ট্রিপকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ১৯৬৭ সালে অধিকৃত অঞ্চলে পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে।

এর আগে ১ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুটি পৃথক ঘটনায় তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে।

একই দিনে ইসরায়েলি বাহিনী দামাস্কাস গেটে ওল্ড সিটিতে ফিলিস্তিনিদের মিরাজের ছুটির উদযাপন সহিংসভাবে দমন করে। সেদিন স্টান গ্রেনেড, রাবার-কোটেড স্টিলের বুলেট ও শারীরিক নির্যাতনে বেশ কয়েকজন শিশুসহ অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিল এবং ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী।